কেউ যদি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে এবং আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় এবং এই কাজে চরম বাড়াবাড়ি করে, তাহলে তাকে হত্যা করা বৈধ কিনা? বৈধ না হলে এ ব্যাপারে ঈমানদার মুসলিমদের দায়িত্ব কী? কারন, যারা এ ধরনের বিদ্বেষ ছড়ায় তারা তো মুসলিমদের অন্তরে ও বিশ্বাসে প্রচণ্ড আঘাত হানে।
এ বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ বিষয়ে ইসলামের বিধান এবং করণীয় হোলঃ
কেউ যদি ইসলাম ধর্মের এবং আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় এবং এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করে, এটা একটা জঘন্য অন্যায় ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু ইসলাম কেন, যেকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং আঘাত দিয়ে কথা বলা ইসলাম সমর্থন করেনা। তবে যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করা হলে ভিন্ন কথা।
এ প্রসংগে ইসলামে বিধান হলো:
১. কেউ ইসলাম এবং আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে আঘাত হেনে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালালে সেটা একটা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের লোকদের উপর দণ্ড কার্যকর করা বা তাদেরকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করেনা। কোনো মুসলিম এ ধরনের কাজ করতে পারেনা।
আল কুরআন ১৭ঃ ৩৩
২. ইসলামের দৃষ্টিতে এই ধরনের লোকদের শাস্তির আওতায় আনার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। এদেরকে আইনের আওতায় এনে সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে অপরাধ প্রমাণ করতে হবে। এভাবে ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করে প্রশাসনকে তাদের উপর নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগ করতে হবে।
আল কুরআন ১৭ঃ ৩৩
৩. ধর্মবিশ্বাসীদের বিশ্বাসে আঘাত হানার কারণে তারা সংক্ষুদ্ধ হয়ে এ ধরনের লোকদের দণ্ড প্রদানের জন্যে সরকারের নিকট দাবী জানাতে পারেন এবং জানানো উচিত। তারা নিজেরাও আদালতে এদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন।
৪. সরকার, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব হোল, এ ধরনের অপরাধীদের উপর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা কার্যকর করা। এ ব্যাপারে এ তিনটি বিভাগের যে কেউ অবহেলা করলে সে কারণে বাড়াবাড়ি এবং সীমালংঘন মূলক কাজের পথ খুলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
৫. অন্য কোনো ধর্মের লোকেরা আল্লাহকে গালি-গালাজ করলেও মহান আল্লাহ তাদের দেবতাদের গালি-গালাজ করতে মুসলিমদের নিষেধ করেছেন।
"তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।" আল কুরআন: ০৬: ১০৮
সুতরাং মুসলমানদেরকে এসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহনশীল হতে হয়। মুসলিমদের উচিত বেশি বেশি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা ও প্রচার করা। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে গঠনমূলক সমালোচনা করা এবং পজেটিভ কাজ করাই মুসলিমদের কর্তব্য।
কেউ যদি ইসলাম ধর্মের এবং আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় এবং এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করে, এটা একটা জঘন্য অন্যায় ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু ইসলাম কেন, যেকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং আঘাত দিয়ে কথা বলা ইসলাম সমর্থন করেনা। তবে যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করা হলে ভিন্ন কথা।
এ প্রসংগে ইসলামে বিধান হলো:
১. কেউ ইসলাম এবং আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে আঘাত হেনে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালালে সেটা একটা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের লোকদের উপর দণ্ড কার্যকর করা বা তাদেরকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করেনা। কোনো মুসলিম এ ধরনের কাজ করতে পারেনা।
"সে প্রাণকে হত্যা করো না, যাকে আল্লাহ হারাম করেছেন; কিন্তু ন্যায়ভাবে। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, আমি তার উত্তরাধিকারীকে ক্ষমতা দান করি। অতএব, সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন না করে। নিশ্চয় সে সাহায্যপ্রাপ্ত।" |
২. ইসলামের দৃষ্টিতে এই ধরনের লোকদের শাস্তির আওতায় আনার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। এদেরকে আইনের আওতায় এনে সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে অপরাধ প্রমাণ করতে হবে। এভাবে ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করে প্রশাসনকে তাদের উপর নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগ করতে হবে।
"সে প্রাণকে হত্যা করো না, যাকে আল্লাহ হারাম করেছেন; কিন্তু ন্যায়ভাবে। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, আমি তার উত্তরাধিকারীকে ক্ষমতা দান করি। অতএব, সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন না করে। নিশ্চয় সে সাহায্যপ্রাপ্ত।" |
৩. ধর্মবিশ্বাসীদের বিশ্বাসে আঘাত হানার কারণে তারা সংক্ষুদ্ধ হয়ে এ ধরনের লোকদের দণ্ড প্রদানের জন্যে সরকারের নিকট দাবী জানাতে পারেন এবং জানানো উচিত। তারা নিজেরাও আদালতে এদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন।
৪. সরকার, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব হোল, এ ধরনের অপরাধীদের উপর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা কার্যকর করা। এ ব্যাপারে এ তিনটি বিভাগের যে কেউ অবহেলা করলে সে কারণে বাড়াবাড়ি এবং সীমালংঘন মূলক কাজের পথ খুলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
৫. অন্য কোনো ধর্মের লোকেরা আল্লাহকে গালি-গালাজ করলেও মহান আল্লাহ তাদের দেবতাদের গালি-গালাজ করতে মুসলিমদের নিষেধ করেছেন।
"তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।" আল কুরআন: ০৬: ১০৮
সুতরাং মুসলমানদেরকে এসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহনশীল হতে হয়। মুসলিমদের উচিত বেশি বেশি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা ও প্রচার করা। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে গঠনমূলক সমালোচনা করা এবং পজেটিভ কাজ করাই মুসলিমদের কর্তব্য।